Champions Trophy শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৯ মার্চ এই মহারণ অনুষ্ঠিত হবে। দুই দলই ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত। একইসঙ্গে আইসিসি প্রকাশ করেছে ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনার জন্য নির্ধারিত আম্পায়ারদের তালিকা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর যাত্রা শেষের দিকে। এবারের ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ক্রিকেটের দুই শক্তিশালী দল—ভারত ও নিউজিল্যান্ড। টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তারা জায়গা করে নিয়েছে চূড়ান্ত লড়াইয়ে।
ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, যেখানে কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী এই উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই প্রত্যক্ষ করবে। তবে শুধু খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সই নয়, এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য নিরপেক্ষ ও অভিজ্ঞ আম্পায়ারদের নির্বাচন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আইসিসি ইতোমধ্যেই ফাইনাল ম্যাচের জন্য আম্পায়ারদের নাম ঘোষণা করেছে। তারা নিশ্চিত করবে যে, ম্যাচটি ন্যায়সঙ্গত ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হয় এবং কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না হয়। এবার আসুন, দেখে নেওয়া যাক কারা থাকছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে আম্পায়ারের দায়িত্বে এবং কীভাবে তাদের নির্বাচন করা হয়েছে।
ফাইনালের আম্পায়ারদের তালিকা প্রকাশ করলো আইসিসি
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের জন্য চারজন আম্পায়ার এবং একজন ম্যাচ রেফারির নাম ঘোষণা করেছে।
- ফিল্ড আম্পায়ার: পল রাইফেল ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ
- তৃতীয় আম্পায়ার: জোয়েল উইলসন
- চতুর্থ আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা
- ম্যাচ রেফারি: রঞ্জন মাদুগালে
এবারের ফাইনালে ভারত ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হওয়ায় তাদের দেশের কোনো আম্পায়ার রাখা হয়নি। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ফাইনালে অংশ নেওয়া দুই দলের কেউই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকতে পারেন না।
Champions Trophy সেমিফাইনাল ও ফাইনালের আম্পায়ার নির্বাচন প্রক্রিয়া
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও সেমিফাইনালের আম্পায়ারদের নাম পরে ঘোষণা করা হয়। ফাইনালে নিরপেক্ষ আম্পায়ার নিয়োগের বিষয়টি সর্বদা বিবেচনা করা হয়। এটি ক্রিকেটের স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আইসিসি চায়, প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ যেন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হয় এবং কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্বের সুযোগ না থাকে। এজন্য তারা অভিজ্ঞ এবং নিরপেক্ষ আম্পায়ারদের নির্বাচন করে থাকে।
পল রাইফেল ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ – অভিজ্ঞ আম্পায়ার জুটি
ফাইনালে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পল রাইফেল ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ। দুজনই অত্যন্ত অভিজ্ঞ আম্পায়ার এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
- পল রাইফেল: এক সময়ের অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার, যিনি পরবর্তীতে অভিজ্ঞ আম্পায়ারে পরিণত হন। আইসিসির এলিট প্যানেলের সদস্য হিসেবে বহু ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
- রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ: ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বর্তমানে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আম্পায়ার। তিনি ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের দায়িত্বও পালন করেছিলেন।
তৃতীয় ও চতুর্থ আম্পায়ারের ভূমিকা
তৃতীয় আম্পায়ার জোয়েল উইলসন এবং চতুর্থ আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করবেন। বিশেষ করে টিভি রিপ্লে দেখে বিতর্কিত আউট ও নো বলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন তারা।
- জোয়েল উইলসন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই আম্পায়ার ২০১৫ সাল থেকে আইসিসির এলিট প্যানেলে আছেন এবং অনেক আইসিসি টুর্নামেন্ট পরিচালনা করেছেন।
- কুমার ধর্মসেনা: শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার, যিনি ২০১৫ বিশ্বকাপ ফাইনালে আম্পায়ার ছিলেন এবং তার দক্ষতার জন্য বিখ্যাত।
ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে – অভিজ্ঞতার প্রতীক
ম্যাচ রেফারি হিসেবে থাকছেন রঞ্জন মাদুগালে, যিনি আইসিসির সবচেয়ে অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারিদের একজন। তার তত্ত্বাবধানে ফাইনাল ম্যাচের শৃঙ্খলা ও নিয়মাবলী নিশ্চিত করা হবে।
রঞ্জন মাদুগালে ২০০০ সাল থেকে আইসিসির ম্যাচ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার উপস্থিতি নিশ্চিত করে যে ম্যাচের সকল নিয়ম যথাযথভাবে মানা হবে এবং কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হবে না।
নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে অংশ নেওয়া দুই দেশের আম্পায়ার রাখা হয় না। এর পেছনে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ:
- স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা: যাতে কোনো দলই বাড়তি সুবিধা না পায়।
- অভিজ্ঞ আম্পায়ারদের নির্বাচন: যাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তারা নিরপেক্ষভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
- ক্রিকেটের ন্যায়বিচার রক্ষা: খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করা।
FAQ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে কারা আম্পায়ার থাকছেন?
ফাইনালের ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন পল রাইফেল ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ। তৃতীয় আম্পায়ার জোয়েল উইলসন এবং চতুর্থ আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। ম্যাচ রেফারি হিসেবে থাকবেন রঞ্জন মাদুগালে।
ফাইনালে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের কোনো আম্পায়ার কেন রাখা হয়নি?
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, নিরপেক্ষ আম্পায়ার নিশ্চিত করার জন্য ফাইনালে অংশগ্রহণকারী দেশের আম্পায়ার রাখা হয় না।
রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ ও পল রাইফেলের অভিজ্ঞতা কেমন?
উভয় আম্পায়ারই আইসিসির এলিট প্যানেলের সদস্য এবং বহু আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে বড় টুর্নামেন্টও রয়েছে।
তৃতীয় আম্পায়ার ও চতুর্থ আম্পায়ারের কাজ কী?
তৃতীয় আম্পায়ার টিভি রিপ্লে দেখে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন, আর চতুর্থ আম্পায়ার মাঠের বাইরের অন্যান্য কার্যক্রম তদারকি করেন।
ম্যাচ রেফারি কী করেন?
ম্যাচ রেফারি নিশ্চিত করেন যে ম্যাচের সকল নিয়ম মেনে খেলা হচ্ছে এবং খেলোয়াড়দের আচরণ শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকছে।
উপসংহার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় ও প্রতীক্ষিত ম্যাচগুলোর একটি। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার এই উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইকে আরও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে আইসিসি অত্যন্ত অভিজ্ঞ ও দক্ষ আম্পায়ারদের নির্বাচিত করেছে। পল রাইফেল, রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ, জোয়েল উইলসন, কুমার ধর্মসেনা এবং ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে—এঁদের উপস্থিতি নিশ্চিত করছে যে ম্যাচটি নিয়মমাফিক ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হবে।
আম্পায়ারদের দায়িত্ব শুধুমাত্র মাঠে নিয়ম প্রয়োগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা নিশ্চিত করেন যে, খেলাটি ক্রীড়া নৈতিকতা বজায় রেখেই সম্পন্ন হচ্ছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, নিরপেক্ষ আম্পায়ার নিয়োগ করা একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত, যা প্রতিটি দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে।
এবার শুধু অপেক্ষার পালা—কে জিতবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা? উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা এই ম্যাচে আম্পায়ারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আশা করা যায়, একটি দারুণ ও ন্যায়সঙ্গত ম্যাচ উপভোগ করবে ক্রিকেট বিশ্ব।
For More Update Follow JitaSports English News and JitaSports BD News